সিনিয়র রিপোর্টার: মো: আতাউর রহমান আতা
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানা আওতাধীন পঞ্চবটী বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় শাসনগাও কলাবাগান হোসেন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া নাম: মৃত: নাসির হোসেন শিমুল (১৯) পিতা: মশিউর রহমান ভান্ডারী/রংপুর লালমনিরহাট গ্রাম গোবরধান থানা: আদিতমারী জেলা: লালমনিরহাট।
পিতা: মশিউর রহমান ভান্ডারী জানালেন আমার ছেলে মৃত: নাসির হোসেন( শিমুল) (১৯) এজকন গার্মেন্টস কর্মী তারই সহযোগী অন্যে তিন শ্রমিকেরা মিলে ছোট একটা রুম ভাড়া করে বসবাস করছেন কয়েক মাস ধরে সেই বাসায় সাবলেট হিসেবে উঠেন মৃত: শিমুল । তাহারা চারজন মিলেমিশে ভালো মতোই দিন যাপন করছেন টাকাপয়সার টানাটানির কারণেই ২,১০০শত টাকা ভাড়া আটকে যায় ভাড়া দিতে দেরি হওয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হন ম্যানেজার ও রুমমেটরা। বাড়ি ভাড়ার টাকা রফাদফা করার জন্যেই ম্যানেজার চার রুমমেটদেরকে নিয়া রুমের ভিতরেই বিচার শালিসিতে বসেন এবং ম্যানেজার বললেন এই বাড়ি থেকে ৩/৪টি মোবাইল চুরি হয়েছে তোমাদের মধ্যে মোবাইল চুরি করেছো কে কে স্বীকার করো আর যদি স্বীকার না করো তাহলে অবস্থা ভয়াবহ করে ফেলবো। ম্যানেজার মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে মৃত: শিমুলের উপরে সারাদিনই শুরু করেন অমানবিক নির্যাতনের কর্মকাণ্ডের ঘটানোর পরেই শিমুলের মৃত্যু হয় ধারণা মৃত: শিমুলের পরিবারের।
পিতা: মশিউর রহমান ভান্ডারী আরো বললেন মৃত: শিমুল দুপুরের খাবার খেতে পাশের বাড়ি মা-বাবার বাসস্থানে আসেন প্রতিদিন কিন্তু গতকাল ২৯,৭,২৪ইং তারিখে বৃহস্পতিবার দেরি দেখে ছোট ছেলে (৮) তাকে দিয়ে মৃত: শিমুলের খাবার পাঠানো হয়। সেই খাবার দিতে গিয়ে এই শিশুর সাথে নোংরামি অমানবিক ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন ধমক দিয়ে খাবারটুকু রেখে যেতে বলেন। কিন্তু শেষ খাবারটুকুও খেতে দেয়নি নরপশুরা খাবারের প্লেটটিও পরে আছ রুমের এক পাশে।দুপুর ঘুরিয়ে বিকাল গিয়ে সন্ধা হয়ে গেলো ছেলে মৃত: শিমুলের কোথাও কোনো খোঁজখবর না-পেয়ে মৃত: শিমুলের (ছেলের) ভাড়া বাসার রুমের কাছে গিয়ে দেখেন দরজাটা খোলা মৃত: শিমুলের গলায় গামছা দিয়ে বাঁধা ফাঁসিতে লটকানো অবস্থায় আছে উপস্থিত লোকজনেরা তারাতাড়ি ফাঁসির থেকে নামিয়ে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়া যায় সেখান থেকে তারা ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে হস্তান্তর করেন। ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের ডিউটিতে থাকা কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত: ঘোষণা করেন। ফতুল্লা থানার পুলিশকে খবর দিলে সাথেসাথেই হাসপাতালে ছুটে যান। শাসন গাও কলাবাগান ঘটনাস্থলে এখনও কোনো পুলিশ যায়নি এমনটাই বললেন মৃত:শিমুলের পরিবার পরিজনেরা।
পিতা: মশিউর রহমান ভান্ডারী আরো বললেন আমার ছেলে নিজ থেকে ফাঁসি দিবে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার ছেলেকে অনেক মারধর করেছে ম্যানেজার ও রুমমেটদের অত্যাচার সইতে না পেরে অনেক কষ্ট পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢেলে পরলেন মৃত: শিমুল। এই মৃত্যুকে এড়িয়ে যাবার জন্যেই মিথ্যা নাটক সাজিয়ে বাঁচার তাগিদে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন ম্যানেজার সহ তিন শ্রমিকেরা । এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠ বিচারের জন্যে প্রশাসনের সর্ব দফতরে এবং দেশবিদেশ সকল মানুষের কাছে ও এলাকাবাসীর কাছে দাবী করছি একজন পিতা হয়ে।সব কিছুর কাহিনীর পরে নাটকীয় ভাবে তিনটি মোবাইল উদ্ধার করলেন বাড়ির মালিকেরা। তারাই কোথায় লুকিয়ে রেখে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তারাই আবার নাটকের শেষ সারমর্ম তৈরি করলেন পূর্বপরিকল্পিত ভাবেই।আজ ময়নাতদন্তের পরে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হব।
এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, নারায়ণগঞ্জ ভিশন অনলাইন টিভি | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
© 2024, নারায়ণগঞ্জ ভিশন অনলাইন টিভি | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতএ
ই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, নারায়ণগঞ্জ ভিশন অনলাইন টিভি | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Leave a Reply