নিউজ ডেস্ক

কোটা আন্দোলন চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জে ফজর আলী গার্ডেন সিটি মার্কেটে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটসহ ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা গ্রহণ না করার অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ফজর আলী গার্ডেন সিটি মার্কেটে এক সাংবাদ সম্মেলনে মার্কেট মালিক চাঁন মিয়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চাঁন মিয়া বলেন, ‘কোটা আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই জামায়াত-শিবিরের লোকজন সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড এলাকায় আমার মার্কেটে দুদফা হামলা করে। হামলাকারীরা মার্কেটের একটি হাসপাতাল, ১৭টি প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এতে মার্কেটের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। এমনকি ঘটনার পরে লুণ্ঠিক মালপত্রসহ কয়েকজনকে আটক করে স্থানীয় জনতা। এ সময় তারা লুটপাটে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তখন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিককে খবর দিলে, তিনি তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ পাঠাননি। তাই আটকদের স্বজনদের ডেকে এনে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চাঁন মিয়া বলেন, ‘পুলিশ মামলা গ্রহণ না করায় গত ২৮ জুলাই ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ ৮ নম্বর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা করি। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক নুসরাত সাহারা বীথি সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।’

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—ক্ষতিগ্রস্ত বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেডের শো-রুমের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম ও এসআলম ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মো. ইব্রাহীমসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। মামলা না নেওয়ার কারণ জানতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।