নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের ৭ম তলায় গতকাল অনুষ্ঠিত ‘আমরা কেমন নারায়ণগঞ্জ চাই?’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এবং মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান। তিনি বলেন, "বিকেএমইএ-র নেতৃত্বে যারা আছেন তারা অবৈধভাবে অবস্থান করছেন। সেলিম ওসমানের পদত্যাগের পর হাতেমের নিয়োগ নিয়ে যে চাপে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ।"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের বর্তমান দুরবস্থা মূলত ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে। বিকেএমইএ’র নেতৃবৃন্দ গার্মেন্টসের স্বার্থে কোন পদক্ষেপ নেয়নি, ভ্যাট এবং এনবিআরের সমস্যা সমাধানে তাদের কোনও উদ্যোগ নেই। আজ আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের দুর্বলতার জন্য তারা দায়ী।"
মাসুদুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "স্বৈরাচারের দোসর যদি নিজের পদত্যাগ না করেন, তবে আমরা রাস্তায় নামবো, ইনশাআল্লাহ। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করবো।"
তিনি আরও বলেন, "নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশন এবং প্রশাসনের কর্মকাণ্ড আমাদের জনস্বার্থের সাথে মেলে না। গত ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা বহু কিছু পরিবর্তনের আশা করেছিলাম, কিন্তু এখনও আমরা বঞ্চিত। প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতারা নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বপ্নের সাথে তাল মেলাতে ব্যর্থ।"
মাসুদুজ্জামান সিটি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির জন্য খানপুর হাসপাতালে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং যানজট নিরসনে উদ্যোগ না নিয়ে রিক্সা লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে।"
শীতলক্ষ্যা নদী দূষণ নিয়ে তিনি বলেন, "আমি এবং যারা গার্মেন্টস ব্যবসা করি, সবাই এই দূষণের জন্য দায়ী। তবে আমরা নদী উদ্ধার করতে চেষ্টা করবো।"
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এটি ছিল ছাত্র-জনতার আন্দোলন, তবে এখন কিছু পক্ষ ছাত্রদের ভুল পথে নিতে চাইছে। আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করতে চাই।"
মাসুদুজ্জামান সকল হত্যার বিচার এবং গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ীরা এবং সাংবাদিকগণ।