সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি-জালকুড়ি-নারায়ণগঞ্জ সড়কের ক্যানেল পাড় অংশে সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এই সড়কে দ্রুত গতির যানবাহন খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ইতিমধ্যে মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, যদি এই ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটিগুলো দ্রুত সরানো না হয়, তাহলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন জনসাধারণের সুবিধার্থে এই দুই লেনের সড়কটি নির্মাণ করে। তবে নির্মাণ কাজের সময় সড়কের ওপর থাকা তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানো হয়নি, যার ফলে সড়কের কিছু অংশ সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এই সড়কের দু’পাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বিনোদন স্পট থাকায় এখানে সবসময় মানুষের ভিড় থাকে।
সড়কের মাঝে খুঁটি থাকায় যানবাহন চালকদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের দু’পাশে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে, যার মধ্যে তিনটি সরাসরি সড়কের ওপর অবস্থিত। যানবাহনগুলোকে খুঁটির পাশ দিয়ে এঁকেবেঁকে চলাচল করতে হয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে একটি যানবাহন খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুজন তরুণ নিহত হন।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগের অবহেলার কারণে এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। তারা দ্রুত খুঁটিগুলো সরানোর দাবি জানান, নাহলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ক্যানেল পাড় এলাকার মোটরসাইকেল মিস্ত্রি সায়েম বলেন, দোকানের সামনে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুত গতির যানবাহন খুঁটির কাছে গতি কমাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের সংঘর্ষ বেশি দেখা যায়।
ক্যানেল পাড়ের ১০ পাইপ এলাকার রেস্তোরাঁ কর্মচারী ফয়েজ বলেন, সড়কে দ্রুত গতির যানবাহন চলাচলের সময় খুঁটির পাশ দিয়ে একসঙ্গে দুটি গাড়ি পার হতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সিএনজি ও অটোরিকশা চালকরাও অভিযোগ করেন, সড়কের মাঝে খুঁটি থাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং মোড় ঘুরতে গিয়ে প্রায়ই গাড়ির সংঘর্ষ হয়। তারা সিটি করপোরেশনকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)-এর সিদ্ধিরগঞ্জ জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারী বলেন, খুঁটি সরানোর পরিকল্পনা আছে, তবে নানা জটিলতার কারণে কাজটি এখনো সম্পন্ন হয়নি। তিনি আশ্বাস দেন যে শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, তিনি বিষয়টি জানতেন না, তবে দ্রুত লোক পাঠিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। তিনি উল্লেখ করেন যে এটি মূলত বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্ব, তাই তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের করা হবে।