নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দীর্ঘ ১৭ বছর পর আয়োজিত সমাবেশটি নানা আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এই সমাবেশটি নারায়ণগঞ্জের সলিমুল্লাহ সড়কে অনুষ্ঠিত হয়, যা শহরের একটি প্রধান সড়ক এবং হাসপাতালের পাশে অবস্থিত। সমাবেশের স্থান নির্বাচন এবং এর ফলে সৃষ্ট যানজট ও জনগণের ভোগান্তি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা দেখা গেছে।
সমাবেশের আয়োজকরা প্রধান সড়ক বন্ধ করে মঞ্চ তৈরি করায় যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। উত্তর পাশের লেন দিয়ে সাময়িক যান চলাচল সম্ভব হলেও পরে মিছিলের কারণে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে পুরো সড়কে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়, যা হাসপাতালে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুল্যান্সসহ সাধারণ মানুষকে মারাত্মক ভোগান্তিতে ফেলে। অ্যাম্বুল্যান্সের চালকরা জানান, তারা জরুরি রোগী নিয়ে আটকে পড়েন এবং মিছিলের কারণে তাদের পথ চলা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই সমাবেশের স্থান নির্বাচন এবং এর ফলে সৃষ্ট সমস্যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকের মতে, বিএনপির এমন কর্মকাণ্ড জনগণের প্রতি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেয়। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসার আগেই এমন আচরণ করে, তাহলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য কী? এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষের আস্থা হারানোর আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেকে।
নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত জনগণের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে কর্মসূচি নির্ধারণ করা। বিএনপির নেতাকর্মীদের এমন কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে দলটি জনগণের আস্থা হারাতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে জনগণের সুবিধা ও নিরাপত্তা বিবেচনায় রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজন করা উচিত বলে মত দিয়েছেন স্থানীয়রা।