আমরা আর কোনো ধর্ষণের ঘটনা দেখতে চাই না। ধর্ষণের শাস্তি কোরআনের আইনের ভিত্তিতে কার্যকর করতে হবে। নিহত আছিয়ার পরিবারের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই।

তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনা আজ আমাদের সমাজে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও নারী ও শিশুর ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চলছে। এর পেছনে নৈতিক অবক্ষয়, বিচারহীনতা ও দুর্বল আইনের ভূমিকা রয়েছে। যদি কোরআনের বিধান অনুযায়ী কঠোর শাস্তি কার্যকর করা হয়, তবে কেউ এই জঘন্য অপরাধ করার সাহস পাবে না। কিন্তু বর্তমান সরকার ইসলামী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, তাই সমাজে অপরাধ বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকার নৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিচার ব্যবস্থায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে না। ধর্ষণ, হত্যা ও গুমের মতো অপরাধ রোধ করতে হলে ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনা মেনে চললেই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে ফতুল্লায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণ ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে মাওলানা দ্বীন ইসলাম তিনি এসব কথা বলেন।

নারীদের নিরাপত্তার বিষয়েও সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, নারী স্বাধীনতার নামে সরকার একটি ভ্রান্ত ধারণা প্রচার করছে। নারীদের প্রকৃত নিরাপত্তা ইসলামী আইনেই নিশ্চিত হতে পারে। পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা নারীকে ভোগ্যপণ্য বানিয়ে দিয়েছে, যার ফলে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। তাই আমাদের ইসলামের বিধান মেনে চলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, সরকার অবিলম্বে ধর্ষণের শাস্তি কঠোর করে ইসলামী আইন অনুসারে কার্যকর করুক। যদি তারা তা না করে, তবে দেশের জনগণ ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হবে। আমাদের লড়াই শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লড়াই।

মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন, শুধু সরকার বা প্রশাসনের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিলেই চলবে না। আমাদের সমাজকেও পরিবর্তন হতে হবে। পিতামাতাকে সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলামি সংস্কৃতি চালু করতে হবে, মিডিয়ার অশ্লীলতা বন্ধ করতে হবে। আমরা যদি নিজেদের দায়িত্ব না বুঝি, তবে অপরাধ বন্ধ হবে না।

তিনি আরও বলেন, সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের সবাইকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ভবিষ্যতেও আমরা এই সংগ্রাম চালিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ।

এসময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এবং সকলে ধর্ষণ ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার অঙ্গীকার করেন।