কাশীপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের দ্বিতীয় জামাতে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া নিয়ে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও, দলীয়ভাবে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, তা নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
একজন সাধারণ নাগরিকের পক্ষ থেকে শিমুল নামের এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বলেন, "আপনার আহ্বান প্রশংসনীয়, তবে শুধু শান্তির বার্তা যথেষ্ট নয়, অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আপনার পোস্টে বলা হয়েছে, এটি ব্যক্তিগত আবেগের বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু যে ব্যক্তি দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে দল কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি? তাকে কি শোকজ করা হয়েছে? বহিষ্কার করা হয়েছে? নাকি তিনি পদত্যাগ করেছেন? এগুলোর কোনোটাই দেখা যাচ্ছে না! যদি শুধু ফোনে 'সরি' বলাই যথেষ্ট হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এর অপব্যবহার আরও বাড়বে।
শিমুলের মতে, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নিজেদের সদস্যদের অপকর্মের দায় স্বীকার করা এবং সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তিনি বলেন, "দলীয় পরিচয়ে অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি আমাদের সমাজকে কলুষিত করছে। যখন অপরাধীরা জানে যে, দলীয় ছত্রছায়ায় তারা নিরাপদ, তখন তাদের অপকর্ম আরও বেড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, কাশীপুরকে সত্যিকারের সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও আলোকিত করতে হলে শুধু শান্তির আহ্বান দিলেই হবে না, অপরাধের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে হবে। যারাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করুক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, তবেই সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।
সাধারণ নাগরিকদের দাবি, শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবৃতি বা দুঃখ প্রকাশ করলেই সমস্যার সমাধান হবে না। দলের উচিত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করা। তাহলেই কাশীপুর সত্যিকারের শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যময় এলাকা হয়ে উঠবে।